জোয়ার-ভাঁটা

জোয়ার-ভাঁটা (Tides)মুখ্যত চন্দ্রের আকর্ষণী শক্তির প্রভাবে এবং অপেক্ষাকৃত কম মাত্রায় সূর্যের আকর্ষণী শক্তির প্রভাবে নিয়মিতভাবে দিনে দু’বার করে পর্যায়ক্রমে সমুদ্রের জল এক জায়গায় ফুলে ওঠে, আবার এক জায়গায় নেমে যায় । চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণে সমুদ্রের জলরাশির এই নিয়মিত ফুলে ওঠা বা জলস্ফীতিকে জোয়ার (High Tide) এবং সমুদ্রের জলরাশির এই নিয়মিত নেমে যাওয়া বা সমুদ্রজলের অবনমনকে ভাঁটা (Low Tide) বলে । সমুদ্রের জল ফুলে ওঠার ফলে সেই জল উপকূলের কাছাকাছি নদনদীতে ঢুকে পড়ে । সেইজন্য উপকূলের কাছাকাছি নদনদীতে জোয়ার-ভাঁটার খেলা দেখা যায় । স্থলভাগ দিয়ে ঘেরা অগভীর সমুদ্রে জোয়ার-ভাঁটার সময় জলতলের পার্থক্য মাত্র ১ মিটারেরও কম হয় ।

জোয়ার-ভাঁটা ও জোয়ার-ভাঁটার কারণপ্রধানত দুটি কারণে পৃথিবীতে জোয়ার-ভাঁটার সৃষ্টি হয়। যথা-(i) পৃথিবীর ওপর চঁদ ও সূর্যের মিলিত মহাকর্ষ বলের প্রভাব এবং (ii) পৃথিবীর আবর্তন জনিত কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাব।

পৃথিবীর ওপর চাঁদ ও সূর্যের মিলিত মহাকর্ষ বলের প্রভাব :নিউটনের মহাকর্ষ নিয়ম অনুযায়ী পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য পরস্পর পরস্পরকে আকর্ষণ করে। যে বস্তুর ভর যত বেশি আকর্ষণ বল তার তত বেশি এবং যে বস্তুর দূরত্ব যত বেশি তার আকর্ষণ বল তত কম। পৃথিবী থেকে সূর্য গড়ে 15 কোটি কিমি দূরে অবস্থিত এবং চাঁদ ও 3 লক্ষ 84 হাজার 400 কিমি দূরে অবস্থিত। তাই পৃথিবীর ওপর চাঁদের আকর্ষণ বল (2.2 গুণ) বেশি। প্রধানত চাঁদের আকর্ষণেই সমুদ্রের জল স্ফীত হয়ে জোয়ারের সৃষ্টি করে। জোয়ারের সমকোণস্থ অঞ্চলের জলতল নেমে গিয়ে ভাঁটার সৃষ্টি করে। সূর্যের চন্দ্রের চেয়ে প্রায় 255 লক্ষ গুণ ভারি হলেও বহু দূরে (প্রায় 391 গুণ) অবস্থিত হওয়ার জন্য সূর্যের আকর্ষণে জোয়ার তত প্রবল হয় না। সিজিগি অবস্থানে পৃথিবীর একই স্থানে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ কার্যকরী হওয়ায় জোয়ার খুব প্রবল হয়।

পৃথিবীর আবর্তনজনিত কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাব :পৃথিবীর আবর্তনজনিত কারণে কেন্দ্রাতিগ বলের সৃষ্টি হয়, যার প্রভাবে সমুদ্রের জলরাশি বাইরের দিকে বিক্ষিপ্ত হওয়ায় প্রবণতা লাভ করে। এই বল মহাকর্ষ বলের বিপরীতে কাজ করে। অর্থাৎ চাঁদের আকর্ষণে যে স্থানে জোয়ার হয় তার বিপরীতে প্রতিপাদ স্থানে কেন্দ্রাতিগ বল অধিক কার্যকরী হওয়ায় সেখানে জোয়ার (গৌণ জোয়ার) হয়, তবে প্রাবল্য তুলনামূলক কম। জোয়ারের স্থানে বিপুল জলরাশি সরবরাহের জন্য এদের মধ্যবর্তী সমকোণস্থ স্থানগুলিতে জলতল নেমে গিয়ে ভাঁটার সৃষ্টি করে।

বিভিন্ন রকমের জোয়ার

মুখ্য জোয়ার পৃথিবী আবর্তনরত অবস্থায় ভূ-পৃষ্ঠের যে অংশ চাঁদের সম্মুখীন বা সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী হয়, সেই স্থানের জলরাশি চন্দ্রের আকর্ষণে অধিকমাত্রায় ফুলে উঠে যে জোয়ারের সৃষ্টি হয়, তাকে মুখ্য বা চন্দ্র জোয়ার বলে।

গৌণ জোয়ার ভূ-পৃষ্ঠের পৃথিবীর যে অংশে মুখ্য জোয়ার হয় তার বিপরীতে প্রতিপাদ স্থানে প্রধানত পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাবে যে জোয়ারের সৃষ্টি হয় তাকে গৌণ জোয়ার বলে।

ভরা কোটাল বা ভরা জোয়ার (Spring Tide) :

  • পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করে (সিজিগি অবস্থান)। এই সময় জোয়ার অতি প্রবল হয় এবং সাধারণ জোয়ার অপেক্ষা 20% জল বেশি ফুলে ওঠে। একেই ভরা কোটাল বলে।
  • পূর্ণিমায় ভরা কোটাল : পূর্ণিমা তিথিতে সিজিগি অবস্থানে পৃথিবী থাকে চাদ ও সূর্যের মাঝখানে (প্রতিযােগ)। এই অবস্থায় চাঁদের আকর্ষণে জোয়ার প্রবল আকার নেয় এবং বিপরীত অংশে কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাব ও সূর্যের আকর্ষণেও জোয়ার প্রবল হয়। একেই পূর্ণিমার ভরা কোটাল বা তেজ কোটাল বলে।
  • অমাবস্যায় ভরা কোটাল : অমাবস্যা তিথিতে সিজিগি অবস্থানে চাঁদ থাকে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে (সংযােগ)। এই অবস্থায় পৃথিবীর যে অংশে চাঁদের আকর্ষণ বল কাজ করে সেখানেই সূর্যের আকর্ষণ বলও কাজ করে। ফলে জল প্রবলভাবে ফুলে ওঠে এবং জোয়ার অতি প্রবল আকার নেয়। একে অমাবস্যার ভরা কোটাল বা তেজ কোটাল বলে। পূর্ণিমার ভরা কোটাল অপেক্ষা অমাবস্যার ভরা কোটাল অনেক তেজি হয়।
  • প্রতি মাসে দুবার করে ভরা জোয়ার সংঘটিত হয় ।

মরা কোটাল বা মরা জোয়ার (Neap Tide)

  • কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে, সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর সঙ্গে একই সরলরেখায় না থেকে সমকোণে অবস্থান করে ।
  • পৃথিবীর যে স্থানটি চন্দ্রের সবচেয়ে কাছে থাকে, সেই স্থানকে চন্দ্র যখন আকর্ষণ করে, তখন ভূপৃষ্ঠের যে স্থানটি সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকে, সূর্যও সেই স্থনটিকে আকর্ষণ করে । কাজেই ওই অবস্থায় চন্দ্রের প্রভাবে যেখানে জোয়ার হয়, তার প্রায় সমকোণী স্থানে সূর্যের প্রভাবেও জোয়ার হয় ।
  • এর ফলে চন্দ্রের আকর্ষণে যে দুই স্থানের জল ফুলে উঠতে চেষ্টা করে, সূর্যের আকর্ষণ সেই দুই স্থানের জলের উচ্চতা কমাতে চেষ্টা করে । এর ফলে জোয়ারের তীব্রতা কমে যায় এবং ভাটার ফলে জলের অবনমনও কিছুটা কমে যায়, ফলে জোয়ার এবং ভাটার জলতলের পার্থক্য অস্বাভাবিক হ্রাস পায় । এই রকম জোয়ারকে মরা জোয়ার বা মরা কোটাল বলে ।
  • সাধারণত প্রতিমাসে দু-বার মরা জোয়ার দেখা যায় ।

পূর্ণিমা অপেক্ষা অমবস্যার জোয়ার প্রবল হয়পূর্ণিমা তিথিতে চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করায় পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের ঠিক সামনে আসে সেখানে হয় মুখ্য চান্দ্র জোয়ার এবং প্রতিপাদ স্থানে হয় মুখ্য সৌর জোয়ার। ফলে পূর্ণিমা তিথিতে যে তীব্র জোয়ারের সৃষ্টি হয় তা পূর্ণিমার ভরা জোয়ার বা ভরা কোটাল বলে। অন্যদিকে অমাবস্যা তিথিতে একই সরলরেখায় পৃথিবীর একই দিকে চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করলে তাদের মিলিত আকর্ষণ বল পৃথিবীর একই স্থানে হওয়ায় ওই স্থানে জলরাশি অতি প্রবলমাত্রায় স্ফীত হয় এবং ভরা কোটাল নামে পরিচিত। পূর্ণিমাতে একটি স্থানে চাঁদের একক মহাকর্ষ শক্তি, অমাবস্যাতে চাঁদ ও সূর্যের যৌথ মহাকর্ষ বল কাজ করায় অমাবস্যার জোয়ারে প্রাবল্য বেশি।

দিনে দুবার জোয়ার ভাটার কারণআবর্তনের ফলে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের সামনে আসে সেখানে মুখ্য জোয়ার এবং তার বিপরীত প্রান্তে গৌণ জোয়ার হয়। এই দুই স্থানের সমকোণে অবস্থিত স্থানে ভাঁটা হয়। পৃথিবীর একবার আবর্তনের মধ্যে অর্থাৎ 24 ঘণ্টায় পৃথিবীর প্রতিটি স্থান একবার করে চাঁদের সামনে আসে। ফলে সেই স্থানে মুখ্য জোয়ার ও প্রতিপাদ স্থানে গৌণ জোয়ার হয়। এই গৌণ জোয়ারের 12 ঘন্টা 26 মিনিট পর প্রতিপাদ স্থানটি চাঁদের সামনে এলে সেখানে মুখ্য জোয়ার হয় এবং প্রথমে যে স্থানে মুখ্য জোয়ার হয়েছিল সেখানে গৌণ জোয়ার হয়। সুতরাং 24 ঘন্টায় একই স্থানে দিনে দুবার জোয়ার এবং জোয়ারের সমকোণী অবস্থানে ভাঁটা হয়। ভাঁটাও দিনে দু’বার সংঘটিত হয়।

জোয়ারভাটার গতিবিধি (Timings of Tides)পৃথিবীর সর্বত্র দিনে একবার মুখ্য জোয়ার ও একবার গৌণ জোয়ার আসে । কিন্তু প্রতিদিন একই সময়ে এই মুখ্য জোয়ার বা একবার গৌণ জোয়ার হয় না। একটি মুখ্য জোয়ার হওয়ার ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট পর গৌণ জোয়ার এবং 24 ঘন্টা 52 মিনিট পরে সেখানে পুনরায় মুখ্য জোয়ার হয়ে থাকে । চন্দ্র যদি স্থির থাকত, তাহলে পৃথিবীর প্রতিটি স্থান 24 ঘন্টা অন্তর একবার চন্দ্রের সামনে আসত এবং সেখানে মুখ্য জোয়ার হত । কিন্তু চন্দ্রও নিজের কক্ষে অবস্থান করে পশ্চিম থেকে পূর্বে 27 দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে । পৃথিবী গোলক বলে তার পরিধির কৌণিক পরিমাণ 360° । এই 360° প্রদক্ষিণ করতে চন্দ্রের 27 দিন সময় লাগে । সুতরাং পৃথিবীর একবার আবর্তনের সময়ে [অর্থাৎ 24 ঘন্টায়] চন্দ্র নিজের কক্ষপথের প্রায় [360° ÷ 27 = 13.3°] 13° পথ এগিয়ে যায় । এই পথ যেতে পৃথিবীর আরও [13 x 4 = 52] 52 মিনিট সময় লাগে । সেইজন্য পৃথিবীর কোনো জায়গায় একটি মুখ্য জোয়ারের পর পরবর্তী মুখ্য জোয়ার ঠিক 24 ঘন্টা পরে না এসে 24 ঘন্টা 52 মিনিট পরে আসে । প্রত্যেক জায়গায় দিনে একবার মুখ্য জোয়ার ও একবার গৌণ জোয়ার হয়; মুখ্য জোয়ার ও গৌণ জোয়ারের মধ্যে সময়ের ব্যবধান প্রায় 12 ঘন্টা 26 মিনিট । প্রত্যেক জোয়ারের প্রায় 6 ঘন্টা 13 মিনিট পরে সেখানে ভাটার মাঝ সময় আসে ।

বান ডাকা (Tidal Bores)কখনো কখনো জোয়ারের জল নদীর মধ্যে প্রবেশ করার সময় মোহনার কাছে খুব উঁচু হয়ে প্রবল বেগে অগ্রসর হয়। একে বান বা বান ডাকা বলে । বান সৃষ্টির কারণ -

  • নদীর মোহনার কাছে বালির চড়া
  • নদীতে প্রবাহিত জলের পরিমাণ বেশি
  • নদীর মোহনার ফানেল বা শঙ্কু আকৃতি

যাড়া-যাঁড়ির বানষাঁড়াষাঁড়ি বান হল বিশেষ একটি নদীর বিশেষ সময়ের বান । বর্ষাকালে হুগলি নদীতে ভরা জোয়ারের সময় নদীর গতিপথের বিপরীত দিকে ভীষণ গর্জন করে যে প্রবল বান আসে তাকে ষাঁড়াষাঁড়ি বান বলে । বর্ষার সময় সাধারণত জুলাই-আগস্ট মাসে হুগলি নদীতে এমনিতেই জলপ্রবাহ খুব বেশি থাকে । এই সময় হুগলি নদীতে যে প্রবল বান আসে তার জন্য হুগলি নদীর জল প্রায় ৭/৮ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে ওঠে । দুটি ষাঁড়ের মধ্যে লড়াইয়ের সময় যে প্রবল গর্জন শোনা যায়, এই বান আসার সময় অনেকটা ওই রকম আওয়াজ পাওয়া যায় বলে একে ষাঁড়াষাঁড়ি বান বলা হয় ।

সিজিগিনিজেদের কক্ষপথে পরিক্রমণ করতে করতে যখন চাঁদের কেন্দ্র, পৃথিবীর কেন্দ্র এবং সূর্যের কেন্দ্র একই সরলরেখায় অবস্থান করে, তখন তাকে সি জি গি বলা হয় (Syzygy = সি জি গি = যোগবিন্দু) । সি জি গি অবস্থান দুটি উপবিভাগে বিভক্ত, যথা প্রতিযোগ ও সংযোগ অবস্থান । ১) পূর্ণিমার দিন পৃথিবী যখন সূর্য ও চন্দ্রের মাঝখানে একই সরলরেখায় অবস্থান করে, তখন তাকে প্রতিযোগ অবস্থান বলে । অন্যদিকে ২) অমাবস্যার দিন যখন সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর একই দিকে এবং একই সরলরেখায় অবস্থান করে তখন তাকে সংযোগ অবস্থান বলা হয় । সিজিগি অবস্থানে জোয়ারভাটার প্রাবল্য বেশি হয়।

অ্যাপােজি

  • চাঁদের পৃথিবী পরিক্রমণ কালে চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব যখন সর্বাধিক থাকে সেই অবস্থানকে অ্যাপােজি বলে।
  • অ্যাপােজি অবস্থানে চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যেকার দূরত্ব 4,07,000 কিমি.
  • এই সময় চাঁদকে ছােটো ও অনুজ্জ্বল দেখায়।

পেরিজির

  • চাঁদের পৃথিবী পরিক্রমণ কালে চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব যখন সবচেয়ে কম থাকে, সেই অবস্থানকে পেরিজি বলে।
  • পেরিজি অবস্থানে চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে কার দূরত্ব 3,56,000 কিমি।
  • এই সময় চাঁদকে অ্যাপােজি অপেক্ষা 12%-14% বড়াে ও 25-30 গুণ বেশি উজ্জ্বল দেখায়।

জোয়ার ভাটারপ্রভাব (Impact of Tides)সমুদ্র উপকূলে ও উপকুলের কাছে নদনদীতে জোয়ার ভাটার প্রভাব বেশি । জোয়ার ভাটার নিম্নলিখিত ফলাফল গুলি :-

  • জোয়ারের ফলে নদীর জল নির্মল থাকে । জোয়ার ভাটার ফলে নদী থেকে আবর্জনা সমুদ্রে গিয়ে পড়ে । ফলে ভাটার টানে নদী আবর্জনা ও পলিমুক্ত হয় ।
  • জোয়ারের জলের টানে নদী-মোহনায় সঞ্চিত পলিমাটি সমুদ্রের দিকে চলে যায় ও নদী মোহনা পলিমুক্ত হয় এবং বদ্বীপ গঠনে বাধা পড়ে ।
  • জোয়ারের জল নদী-খাতে ঢুকে এর বিস্তার ও গভীরতা বৃদ্ধি করে, ফলে বড় বড় সমুদ্রগামী জাহাজ দেশের অভ্যন্তরে নদী-বন্দরে ঢুকতে পারে ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা হয় । যেমন জোয়ারের সময় হুগলী নদীর মধ্য দিয়ে বড় বড় জাহাজ কলকাতা বন্দরে আসে ।
  • আজকাল উন্নত দেশগুলিতে জোয়ারের জলকে কাজে লাগিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয় ।
  • জোয়ারের জল অনেক সময় নদী মোহনার পলি তুলে নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে নদীগর্ভে জমা করে নদীর গভীরতা কমিয়ে ফেলে ।
  • জোয়ারের ফলে নদীর মিষ্টি জল লবণাক্ত হয়ে যাওয়ায় তা খাওয়া ও সেচের কাজে অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে ।
  • প্রবল জোয়ারের ফলে নদীতে যে জলস্ফীতি ঘটে তার ফলে অনেক সময় নদী তীরের চাষ-আবাদ ও বাড়ি-ঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয় ।
  • প্রবল জোয়ারের ফলে নদীতে বান আসলে তার ফলে নৌকাডুবি এবং জীবন হানির সম্ভাবনা থাকে ।