মহাবিশ্ব এবং সৌরজগৎ

সৌরজগৎ

  • সূর্য এবং তার চারদিকে ঘূর্ণায়মান গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু, ধূমকেতু, ধূলিকণা ও গ্যাস নিয়ে সৌরজগৎ গঠিত।
  • আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কালপুরুষ বাহুতে অবস্থিত সৌরজগৎ ।
  • ৪.৬ লক্ষ কোটি বছর আগে একটি দৈত্যাকার আন্তঃনাক্ষত্রিক আণবিক মেঘের মহাকর্ষীয় পতনের ফলে সৌরজগতের উদ্ভব ঘটেছিল।

সূর্য

  • সৌরজগতের কেন্দ্রে রয়েছে সূর্য যেটি একটি জি২ শ্রেণীর নক্ষত্র।
  • সূর্য আমাদের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র ।
  • সৌর জগতের সমগ্র মোট ভরের শতকরা ৯৯.৮৬ ভাগের জন্য দায়ী হল সূর্য।
  • সূর্যের ব্যাস প্রায় 13 লাখ 92 হাজার কিলোমিটার, পৃথিবীর ব‍্যাসের প্রায় 110 গুণ।
  • সূর্যের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের প্রায় 13 লক্ষ গুণ। সূর্য চন্দ্র অপেক্ষা বড় – ২ কোটি ৩০ লক্ষগুণ।
  • সূর্যের ওজন 2×10^29 কিলোগ্রাম, পৃথিবীর ওজনের প্রায় 3 ¼ লক্ষ গুণ।
  • সূর্যের শক্তির উৎস হলো নিউক্লীয়-সংযোজন ( Nuclear Fusion ) পক্রিয়া।
  • এটি প্রধানত কয়েকটি গ্যাসীয় উপাদান, যথা 一 হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, অক্সিজেন, কার্বন প্রভৃতি দ্বারা গঠিত। এগুলির মধ্যে হাইড্রোজেন ৫৫%, হিলিয়াম ৪৪%, অন্যান্য গ্যাস ১%।
  • আলো ও উত্তাপের পার্থক্য অনুসারে সৌরমন্ডল চারটি অংশে ভাগ করা যায়। যথা 一 কেন্দ্রমন্ডল, আলোকমন্ডল, বর্ণমন্ডল এবং ছটামন্ডল।
  • যে অংশসটি সূর্যের আমরা দেখতে পাই সেটি হল – ফটোস্ফিয়ার।
  • পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যের যে অংশটি আমরা দেখতে পাই সেটিকে বলা হয় – করোনা ( Corona )।
  • সূর্যের বাইরের অংশ অর্থাৎ ফটোস্ফিয়ার এর তাপমাত্রা ৬০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড।
  • পৃথিবী সহ মোট আটটি গ্রহ, এদের বিভিন্ন উপগ্রহ, ধূমকেতু, উল্কা, গ্রহাণু এবং আরও অনেক ছোট ছোট জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে।
  • সূর্য ছাড়া সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহ এবং অন্যান্য জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো ও উত্তাপ নেই। সূর্যের আলো পেয়ে এগুলি আলোকিত ও উত্তপ্ত হয়।
  • আবর্তন কাল: 25 দিন।
  • প্রদক্ষিণের সময়: 250 মিলিয়ন বছর।
  • সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র – প্রক্ষিমা সেন্টেরাই।

সৌরজগতের গ্রহসমূহ

  • সৌরজগতের গ্রহের স্বীকৃতি দানকারী সংস্থার নাম – ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন (IAU)
  • International Astronomical Union প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৯১৯ সালে।
  • IAU এর সদর দপ্তর অবস্থিত – প্রাগ, চেক রিপাবলিক।
  • সৌরজগতে বর্তমানে ৮ টি গ্রহ রয়েছে।
  • গ্রহগুলির ক্রমহ্রাসমান আয়তন অনুসারে গ্রহগুলির ক্রম হলো – ১. বৃহস্পতি ২. শনি ৩. ইউরেনাস ৪. নেপচুন ৫. পৃথিবী ৬. শুক্র ৭. মঙ্গল ৮. বুধ
  • সূর্য থেকে ক্রমবর্ধমান দূরত্ব অনুসারে এই গ্রহগুলি হলো – ১. বুধ ২. শুক্র ৩. পৃথিবী ৪. মঙ্গল ৫. বৃহস্পতি ৬. শনি ৭. ইউরেনাস ৮. নেপচুন
  • সৌরজগতে শুক্র ও ইউরেনাস পূর্ব থেকে পশ্চিমে ঘোরে ।
  • শনি ও ইউরেনাসের বলয় দেখা যায়।
  • শুক্র গ্রহের আবর্তন কাল এবং পরিক্রমণকাল একই সমান। বুধের পরিক্রমণ কাল সর্বাপেক্ষা কম, কেবল ৮৮ দিন।
  • পৃথিবীর ঘনত্ব সর্বাধিক। গ্রহ গুলির মধ্যে শনির ঘনত্ব সবচেয়ে কম।
  • পৃথিবী ছাড়া সৌরজগতের কোন গ্রহেই প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশ নেই, এইজন্য ওইসব গ্রহে উদ্ভিদ বা প্রাণীর সৃষ্টি হয়নি।

বুধ (Mercury):

  • সূর্যের নিকটতম, দ্রুততম ও সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহ।
  • রোমান বাণিজ্য দেবতা মার্কারির নামানুসারে এই গ্রহের নাম হয়।
  • কোনো প্রাকৃতিক উপগ্রহ নেই।
  • বায়ুমণ্ডল নেই। এই কারণে দিনে প্রচন্ড গরম ও রাতে প্রচন্ড ঠান্ডা হয়ে যায়।
  • সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় 5 কোটি 77 লক্ষ কিলোমিটার। এর নিরক্ষীয় ব্যাস প্রায় 4,828 কিলোমিটার।
  • নিজের মেরুরেখার চারদিকে একবার আবর্তন করতে বুধের সময় লাগে 58 দিন 17 ঘন্টা এবং সূর্যের চারদিকে একবার পরিক্রমণ করতে সময় লাগে ৮৮ দিন।

শুক্র (Venus):

  • পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের এবং সূর্যের দ্বিতীয় কাছের গ্রহ শুক্র।
  • পৃথিবী থেকে শুক্রের দুরত্ব – ৪.৩ কোটি কিলোমিটার।
  • সৌরজগতের উজ্জ্বলতম এবং সৌরজগতের উষ্ণতম গ্রহ।
  • শুক্রের কোন উপগ্রহ নেই।
  • শুক্রে কোনো জল নেয়।
  • ভোরের অাকাশে শুকতারা ও সন্ধ্যার অাকাশে সন্ধ্যাতারা নামে পরিচিত – শুক্র গ্রহ।
  • শুক্রকে পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলা হয়ে থাকে।
  • সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় 10 কোটি 78 লক্ষ কিলোমিটার। এর নিরক্ষীয় ব্যাস প্রায় 12,391 কিলোমিটার।
  • শুক্রের আবর্তন কাল পরিক্রমন কালের থেকে বেশী। 243 দিনে একবার নিজের মেরুরেখার চারদিকে আবর্তন করে এবং সূর্যের চারদিকে একবার পরিক্রমণে এর সময় লাগে 224 দিন।
  • পূর্ব থেকে পশ্চিমদিকে – ঘড়ির দিকে ঘোরে ( শুক্র ও ইউরেনাস ছাড়া বাকি গ্রহগুলি পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরে ) ।

পৃথিবী (Earth) :

  • সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ পৃথিবী।
  • নীল গ্রহ নাম পরিচিত।
  • সর্বাধিক ঘনত্বযুক্ত গ্রহ
  • পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে জীবের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন রয়েছে।
  • পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ – চাঁদ।
  • সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় 15 কোটি কিলোমিটার।
  • সূর্যকিরন পৃথিবীতে পৌছতে সময় লাগে 8মি 19 সেকেন্ড
  • নিজের মেরুরেখার চারদিকে একবার আবর্তন করতে পৃথিবীর সময় লাগে 23 ঘন্টা 56 মিনিট 24 সেকেন্ড এবং সূর্যের চারদিকে একবার পরিক্রমণে সময় লাগে 365 দিন 5 ঘন্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড।

মঙ্গল (Mars) :

  • লাল মাটির জন্য এই গ্রহ লাল গ্রহ নামেও পরিচিত।
  • রোমান যুদ্ধের দেবতার নাম অনুসারে মঙ্গল গ্রহের নাম রাখা হয় Mars .
  • মঙ্গলের দুই প্রাকৃতিক উপগ্রহ হলো – ফোবোস ও ডিমোস ।
  • সৌরজগতের যে গ্রহে দুবার সূর্যোদয় হয় – মঙ্গলে।
  • মঙ্গলের আগ্নেয়গিরি – অলিম্পাস মন্স সৌরজহতের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি এবং উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ ( উচ্চতা প্রায় ২৪ কিলোমিটার )
  • সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় 22 কোটি 80 লক্ষ কিলোমিটার। গ্রহটির নিরক্ষীয় ব্যাস প্রায় 6,790 কিলোমিটার।
  • এটি নিজের মেরুরেখার চারদিকে একবার আবর্তন করতে সময় নেয় 24 ঘন্টা 37 মিনিট এবং সূর্যের চারদিকে একবার পরিক্রমণ করতে সময় নেয় 687 দিন।

বৃহস্পতি (Jupitar) :

  • সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ।
  • একে রাক্ষুসে গ্রহ বা গ্রহরাজ বলা হয়
  • রোমান দেবতা জুপিটারের নামানুসারে এই গ্রহের নাম রাখা হয়।
  • বৃহস্পতির পৃষ্ঠ গ্যাস ও তরলের সমন্বয়ে গঠিত। বৃহস্পতির আবহমণ্ডল হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম নিয়ে গঠিত।
  • বৃহস্পতি গ্রহের গ্রেট রেড স্পট দেখা যায়।
  • ৭৯টি প্রাকৃতিক উপগ্রহ রয়েছে বৃহস্পতির ।
  • বৃহস্পতির উপগ্রহ গ্যানিমিড সৌরজগতের বৃহত্তম প্রাকৃতিক উপগ্রহ।
  • গ্যালেলিও বৃহস্পতির চারটে উপগ্রহ আবিষ্কার করেন – গ্যানিমিড, ইউরোপা, ক্যালিস্টো এবং লো।
  • বৃহস্পতির উষ্ণতা কম থাকার জন্য একে শীতের গ্রহ ( Winter Planet ) ও বলা হয়ে থাকে।
  • বৃহস্পতি গ্রহের অপর নাম ‘The Comet Disturber’।
  • সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় 77 কোটি 91 লক্ষ কিলোমিটার। বৃহস্পতির নিরক্ষীয় ব্যাস প্রায় 1 লক্ষ 42 হাজার 745 কিলোমিটার।
  • বৃহস্পতির আবর্তন বেগ সর্বাধিক।
  • এটি মাত্র 9 ঘণ্টা 50 মিনিট সময়ে নিজের মেরুরেখার চারদিকে একবার আবর্তন করে এবং সূর্যের চারদিকে একবার পরিক্রমণ করতে সময় নেয় প্রায় 12 বছর।

শনি (Saturn) :

  • শনি গ্রহের চারিদিকে বরফ ও ধূলিকণা দ্বারা গঠিত বলয় রয়েছে।
  • শনির চতুর্দিকে বেস্টনকারী বলয়ের সংখ্যা – ৩ টি।
  • রোমান কৃষি দেবতা স্ট্যাটারনাসের নামে নামকরন হয়।
  • সর্বাপেক্ষা কম ঘনত্বযুক্ত গ্রহ
  • সম্প্রতি শনি গ্রহের কতগুলি নতুন উপগ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে এবং বর্তমানে শনির সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক উপগ্রহ রয়েছে।
  • শনির উপগ্রহ – ৬২ টি। এর মধ্য টাইটান, জুয়া, ডাইওন, ক্যাপিটাস, টেথিস প্রধান।
  • শনির বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটান, সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপগ্রহ।
  • শনির টাইটান উপগ্রহ অাবিষ্কার হয় – ২৫ মার্চ ১৯৫৫।
  • শনির উপগ্রহ টাইটানের অাবিষ্কারক – ক্রিশ্চিয়ান হুগেন্স।
  • সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব 142 কোটি 60 লক্ষ কিলোমিটার। শনির নিরক্ষীয় ব্যাস প্রায় 1 লক্ষ 20 হাজার 858 কিলোমিটার।
  • নিজের মেরুরেখার চারদিকে একবার আবর্তন করতে এর সময় লাগে 10 ঘন্টা 14 মিনিট এবং সূর্যের চারদিকে একবার পরিক্রমণ করতে সময় নেয় 29 বছর 6 মাস।

ইউরেনাস (Uranus) :

  • ইউরেনাস গ্রহণের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের প্রায় চার গুন্।
  • গ্রিকদের আকাশের দেবতা ইউরেনাসের নামানুসারে এর নামকরন হয়।
  • সৌরজগতের শীতলতম গ্রহ ইউরেনাস।
  • এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতির কারণে এই গ্রহের রং সবুজাভ।
  • টেলিস্কোপের সাহায্যে আবিষ্কৃত প্রথম গ্রহ হলো ইউরেনাস। অাবিস্কারক – উইলিয়াম হার্শেল।
  • মিরান্ডা ইউরেনাসের উল্লেখযোগ্য উপগ্রহ
  • শুক্রের মতো ইউরেনাস ও পূর্ব থেকে পশ্চিমে ঘরে।
  • ইউরেনাসের অক্ষ এতটাই হেলে রয়েছে যে ইউরেনাস কে বলা হয় “A Planet on its Side”.
  • সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় 287 কোটি কিলোমিটার। গ্রহটির নিরক্ষীয় ব্যাস প্রায় 49 হাজার 152 কিলোমিটার।
  • নিজের মেরুরেখার চারদিকে একবার আবর্তন করতে এর সময় লাগে 10 ঘন্টা 42 মিনিট এবং সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণে সময় লাগে 84 বছর 1 মাস।

নেপচুন (Neptune) :

  • J.G.GALLE নেপচুন আবিষ্কার করেন
  • নেপচুনের সাথে ইউরেনাসের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে তাই নেপচুনকে ইউরেনাসের যমজ গ্রহ বলা হয়ে থাকে।
  • সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় 449 কোটি 30 লক্ষ কিলোমিটার। নেপচুনের নিরক্ষীয় ব্যাস প্রায় 44 হাজার 800 কিলোমিটার।
  • প্রতি 15 ঘন্টা 48 মিনিট সময়ে গ্রহটি একবার নিজ মেরুরেখার চারদিকে আবর্তন করে এবং সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে 165 বছর।
  • নেপচুনের বৃহত্তম উপগ্রহ হলো ট্রাইটন।

সৌরজগতের বামন গ্রহ ( Dwarfs Planets of Solar System ): সৌরজগতে কিছু জ্যোতিষ্ক আছে যেগুলি গ্রহের মতো গোলাকার এবং নির্দিষ্ট পথে নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের চারদিকে ঘোরে, এরা সূর্যের আলোয় আলোকিত ও উত্তপ্ত হয়, কিন্তু এগুলি অত্যন্ত ছোটো বলে গ্রহের মতো নিজের কক্ষপথের আশেপাশের মহাজাগতিক বস্তুকে সরিয়ে দিতে পারে না, এই সব জ্যোতিষ্ককে বামন গ্রহ বলে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী সৌরজগতে পাঁচটি বামন গ্রহ রয়েছে

  • প্লুটো (Pluto) :
    • IAU এর সঙ্গে অনুযায়ী প্লুটো গ্রহটিকে ২০০৬ সালের ২৪শে আগস্ট বামন গ্রহ ( Dwarf Planet ) -এর আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
    • সৌরজগতের বামন গ্রহগুলির মধ্যে প্লুটো হলো বৃহত্তম।
    • প্লুটোর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহটি হলো – চারন ( Charon ) ।
    • সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় 589 কোটি 80 লক্ষ কিলোমিটার।
    • গ্রহটির নিরক্ষীয় ব্যাস প্রায় 6,400 কিলোমিটার।
    • প্রতি 6 দিনে একবার করে প্লুটো নিজের মেরুরেখার চারদিকে আবর্তন করে এবং সূর্যকে পরিক্রমণ করতে সময় নেয় 248 বছর।
  • এরিস
    • সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বামন উপগ্রহ।
    • ২০০৫ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়।
    • কুইপার বেল্টের অন্তর্গত।
    • এরিসের পূর্বনাম ছিল জেনা
  • সেরেস মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝখানে অবস্থিত সেরেস বামন গ্রহ। ব‍্যাস মাত্র 770 কিমি।
  • হাউমিয়া বা হাউমেয়া
  • মেক মেক বা মাকিমাকি

চাঁদ:

  • পৃথিবীর চারিদিকে চাঁদ একবার ঘুরে অাসতে সময় লাগে – ২৭.৩ দিন।
  • চাঁদ থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে ➟ 1.3 সেকেন্ড
  • পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ➟ 3,84,401 কিমি
  • চাঁদের মাধ্যাকর্ষন পৃথিবীর 1/6 গুন । চাঁদে কোন বস্তুর ওজন পৃথিবীতে ঐ বস্তুর ওজনের – ৬ ভাগের ১ ভাগ।
  • পৃথিবীর ভর চাঁদের 81গুন
  • পৃথিবী থেকে চাঁদের 59% দেখা যায়
  • ‘শান্ত সমুদ্র’ অবস্থিত – চন্দ্রে।
  • চাঁদের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ - mons huygens
  • চাঁদে মাটিতে অধিক পরিমানে পাওয়া যায় - টাইটেনিয়াম
  • চাঁদে প্রথম নভোযান পাঠায় – সোভিয়েত ইউনিয়ন, ২ জানুয়ারী ১৯৫৯
  • মানুষ প্রথম চাঁদে অবতরণ করে – ১৯৬৯ সালে২০ জুলাই।
  • সর্বপ্রথম চন্দ্র পৃষ্ঠে পা রাখেন – মার্কিন নভোচারী – নীল অার্মস্ট্রং।
  • ভারতে প্রথম মনুষ্যবিহীন নভোযানের নাম- চন্দ্রযান-১।
  • SMART- এর পূর্ণরুপ – Small Missions for Advanced Research in Technology-1

নক্ষত্র

  • সূর্যের পর আমাদের কাছের নক্ষত্র - পক্সিমা সেন্টাউরি
  • সৌরজগতের সবচেয়ে বড়ো নক্ষত্র - লুব্ধক
  • উজ্জ্বলতম নক্ষত্র - সিরিয়াস

ছায়াপথ

  • লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র যখন নিজস্ব মহাকর্ষীয় বলের দ্বারা একত্রে অবস্থান করে তখন তাকে ছায়াপথ বলে। যেমন আমাদের ছায়াপথ আকাশগঙ্গা বা মিল্কিওয়ে।
  • প্রধানত ছায়াপথ তিন ধরনের হতে পারে:
    • সর্পিল ছায়াপথ :মানুষের পর্যবেক্ষণ করা প্রায় 77.77% গ্যালাক্সিগুলি সর্পিল ছায়াপথ। এই ধরণের একটি ভাল উদাহরণ অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি।আমাদের ছায়াপথ, মিল্কিওয়ে এই ধরণের ছায়াপথের উদাহরণ।
    • উপবৃত্তাকার ছায়াপথ: উপবৃত্তাকার ছায়াপথগুলি প্রায় ডিমের আকারের । যেমন মেসিয়ার 87
    • অনিয়মিত ছায়াপথ: অনিয়মিত আকারের ছায়াপথগুলি উপবৃত্তাকার ডাবল-রিংযুক্ত গ্যালাক্সি। Small Magellanic Cloud এর একটি উদাহরণ। অনুমানগুলি বলে যে প্রায় 0.1% গ্যালাক্সি এই ধরণের।

ধুমকেতু

  • ধুমকেতু হলো ঘনীভূত গ্যাস পদগুলি কোন আর সমন্বয়ে গঠিত বিশাল মহাজাগতিক বস্তু।
  • ধূমকেতুর লেজের দিক সব সময় সূর্য থেকে দূরে অবস্থান করে।
  • হ্যালির ধূমকেতু 76 বছর অন্তর দেখা যায়। শেষ দেখা গেছিল 1986। আবার দেখা যাবে 2062 সালে।

নীহারিকা

  • মহাকাশের নীহারিকা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের মতো বিশাল গ্যাসীয় পিণ্ড। বলা যেতে পারে যে এরা হচ্ছে সেই সব ছায়াপথ যাদের মধ্যে কার গ্যাস জমে তারকা হয়ে যেতে পারেনি। তারারা আকাশে একা একা থাকে না , কয়েকটা মিলে দল বেঁধে থাকে। দলের মধ্যে যে যেখানে আছে সে সবসময় সেখানেই থাকে। তারার এই দলকেই বলে তারকামন্ডল। যেমন সপ্তর্ষিমণ্ডল, ক্যাসিওপিয়া ইত্যাদি।

উল্কা

  • উল্কা পৃথিবীর বাইরে থেকে আসা ছোটখাট জিনিস যারা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে জ্বলে ওঠে।এরা শব্দের গতির চেয়ে 30 গুণ থেকে 60 গুণ বেশি জোরে বায়ুমন্ডলের মধ্যে দিয়ে ছোটে বলে জ্বলে ওঠে। এরা ধূমকেতুর কোন ভাঙা টুকরো বা গ্রহ কনিকা ও হতে পারে।