ভাইরাস [ VIRUS ]

  • ভাইরাস কথার শব্দতত্ত্বগত অর্থ “ বিষ ’ ( poison ) |
  • 1796 খ্রীষ্টাব্দে বিজ্ঞানী - জেনার সর্বপ্রথম ভাইরাস আক্রান্ত বসন্ত রােগের কথা উল্লেখ করেন ।
  • বিজ্ঞানী আইভানওস্কি সর্বপ্রথম তামাক গাছের ভাইরাস আক্রান্ত রােগের নিমিত্ত - স্বরূপ প্রতিনিধিগুলিকে অণু - পরিসুতির সূক্ষ্ম ছিদ্রের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করাতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং ঐ সংক্রমণকারী তরলকে বা বিষকে তিনি ‘ সংক্রামক সজীব তরল নামে অভিহিত করেন ।
  • 1933 খ্রীষ্টাব্দে জাপানের টাকাহাসি সর্বপ্রথম তামাক গাছের ভাইরাস আক্রান্ত মােজেক রােগের কারণ উল্লেখ করেন এবং উক্ত ভাইরাসের আকৃতি সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ করেন ।
  • 1935 খ্রীষ্টাব্দে মার্কিন বিজ্ঞানী স্ট্যানলি তামাক গাছের টোবাকো মােজেক ভাইরাসকে রােগাক্রান্ত পাতা থেকে বিচ্ছিন্ন ও কেলাসিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন ।
  • 1936 খ্রীষ্টাব্দে ইংল্যাণ্ডের ব্যডেন এবং পিরী ভাইরাসে প্রােটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিডের উপস্থিতি প্রমাণ করেন ।

ভাইরাসের সংজ্ঞা ( Definition of virus ) ঃনিউক্লিওপ্রােটিন দ্বারা গঠিত , অ - কোষীয় , রোগসৃষ্টিকারী , সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম , জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ের একপ্রকার বস্তুকে ভাইরাস বলে ।

ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য ( Salient features of virus ) ঃ

  1. ভাইরাস জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ের এক রকম বস্তু ( organism ) ।
  2. ভাইরাসের দেহে সাইটোপ্লাজম , নিউক্লিয়াস বা নিউক্লিয় বস্তু , কোষ - অঙ্গাণু ইত্যাদি না থাকায় ভাইরাস অকোষীয় ( acellular ) ।
  3. ভাইরাস অতি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বস্তু , যা সহজেই অণু - পরিসুতির ( microfilter ) সূক্ষ্ম ছিদ্রের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করতে পারে ( ব্যাটিরিয়া পারে না ) ।
  4. ভাইরাস কেবলমাত্র ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দৃশ্যমান ।
  5. ভাইরাস বাধ্যতামূলক পরজীবী এবং রােগসৃষ্টিকারী বস্তু ।
  6. ভাইরাস কেবল পােষক - দেহের কোষেই প্রজননক্ষম । পােষক - কোষের বাইরে এরা । জড়ের মত আচরণ করে ।
  7. ভাইরাস একমাত্র প্রতিলিপি ' গঠনের দ্বারা বংশবিস্তার করে ।
  8. ভাইরাসের নিজস্ব কোন বিপাক ক্রিয়া করার ক্ষমতা নেই এবং চলন ক্ষমতা নেই ।
  9. ভাইরাসের দেহে সাধারণত DNA অথবা RNA , যে - কোন একপ্রকারের নিউক্লিক অ্যাসিড থাকে ।

ভাইরাসের জড়ের লক্ষণ ( Non - living characters of virus ) ঃ

  • ভাইরাসের দেহে সাইটোপ্লাজম থাকে না ।
  • ভাইরাস কোন বহিঃস্থ উদ্দীপকে সাড়া দেয় না ।
  • ভাইরাসের চলন ক্ষমতা নেই ।
  • ভাইরাসের দেহে কোনরকম বিপাক ক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না ।

ভাইরাসের প্রাণের লক্ষণ ( Living characters of virus ) ঃ

  • পােষকের দেহ - কোষে ভাইরাস বংশবিস্তারে সক্ষম ।
  • ভাইরাসের দেহে প্রােটিন ও নিউক্লিক - অ্যাসিডের উপস্থিতি লক্ষণীয় ।

ভাইরাসের অবস্থিতি ( Occurrence of virus ) ঃজলে , স্থলে , অন্তরীক্ষে সর্বত্রই ভাইরাসের অবস্থিতি লক্ষণীয় । মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের পৌষ্টিক নালীতে , পানীয়তে , সবজিতে , ভাইরাস - আক্রান্ত রােগীর মলমূত্রে , থুতুতে ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় ।

ভাইরাসের আয়তন ( Size of virus ) ঃইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে ভাইরাসের আয়তন জানা গেছে । ভাইরাসের গড় ব্যাস 8-280 মিলিমাইক্রন ( mg ) । গবাদি পশুর পা ও মুখের রােগসৃষ্টিকারী ভাইরাস আয়তনে সবচেয়ে ছােট ( 8-12mg ) এবং টিয়াপাখীর জ্বর সৃষ্টিকারী ভাইরাসের আয়তন সর্বাপেক্ষা বড় ( 455mu ) ।

ভাইরাসের আকার ( Shape of virus ) ঃভাইরাস বিভিন্ন আকারের হয় , যেমন :

  • গােলাকার ( Spherical ) :পােলিও ভাইরাস আকারে গােল , গল - এর ছােট্ট বলের মত ।
  • দণ্ডাকার ( Rod shaped ) :তামাক পাতার টোবাকো মােজেক ভাইরাস ছােট্ট দণ্ডের মত
  • ডিম্বাকার ( Ovoid ) :মাম্পস , ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রােগের ভাইরাস ডিম্বাকার ।
  • ঘনকাকার ( Cuboidal ) :গুটি বসন্ত রােগের ভাইরাস ( ভ্যাকসিনিয়া ও ভ্যারিওলা ঘনকের মত ।
  • শুক্রাণু বা ব্যাঙাচী আকার ( Spermatozoa - shaped or tadpole larva - shaped ) :ব্যাকটিরিওফাজ বা ফাজ ভাইরাসের আকার অনেকটা শুক্রাণু বা ব্যাঙাচির মত ।

ভাইরাসের গঠন ( Structure of virus ) ঃভাইরাস : দেহের প্রধান অংশ দুটি , যথা :

  • ক্যাপসিড ( Capsid ) ঃভাইরাসের বাইরের আবরণটিকে ক্যাপসিড বলে । এটি প্রােটিন দ্বারা গঠিত । নিউক্লিওয়েডকে রক্ষা করা এই অংশের প্রধান কাজ । ক্যাপসিড অনেকগুলি একক নিয়ে গঠিত । ক্যাপসিডের একক হল ক্যাপসসামিয়ার । বংশবিস্তারের সময় এই অংশটি পােষক দেহের বাইরে পরিত্যক্ত হয় ।
  • নিউক্লিওয়েড ( Nucleoid ) ঃএটি ভাইরাসের ক্যাপসিড - মধ্যস্থ অংশ । এটি নিউক্লিক অ্যাসিড দ্বারা গঠিত । ভাইরাসের দেহে DNA অথবা RNA , যে - কোন একরকমের নিউক্লিক অ্যাসিড থাকে । উদ্ভিদ - ভাইরাস শুধুমাত্র RNA এবং ব্যাকটিরিয়া ভাইরাসে শুধুমাত্র DNA থাকে । প্রাণী - ভাইরাস DNA বা RNA ঘটিত হয় । বসন্ত ভাইরাস DNA- ঘটিত এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস RNA ঘটিত ।
প্রােটিন ছাড়া ভাইরাসের দেহে বিশেষ ধরনের উৎসেচক থাকে । ফাজ - ভাইরাসে লাইসােজাইম এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাষ্ট্রে নিউরামিনিডেজ উৎসেচক থাকে ।

ব্যাকটিরিওফাজের গঠন ( Structure of Bacteriophage ) :ব্যাটিরিওফাজ বা ফাজ ভাই ব্যাকটিরিয়ার দেহে বংশবিস্তারকারী ব্যাঙাচির মত বা শুক্রাণুর মত দেখতে । এই ভাইরাসের দেহ নিম্নলিখিত অংশগুলি নিয়ে গঠিত :

  • মস্তক ( Head ) ঃফাজ ভাইরাসের মস্তকটি 6 - বাহুবিশিষ্ট । মস্তকের প্রাচীরটি দুটি স্তর নিয়ে গঠিত । মস্তকের ফাঁপা অংশের মধ্যে DNA তন্তু প্যাচানাে অবস্থায় থাকে ।
  • গ্রীবা ( Neck ) ঃ মস্তকের নীচে অবস্থিত , ক্ষুদ্র নলাকার অংশ এবং চাকতির মত গ্রীবা বেষ্টনী বা কলার ( collar ) দ্বারা গঠিত ।
  • পুচ্ছ ( Tail ) ঃগ্রীবার পরবর্তী অংশ । দুটি অংশ নিয়ে গঠিত ভেতরের সরু ফাপা নলাকার অংশটিকে মধ্যনল বা কোর ( core ) বলে । মধ্যনলটি একটি পুরু আবরণী দ্বারা আবৃত থাকে , একে পুচ্ছ আবরণী বলে । এই আবরণীটি সংকোচনশীল হয় ।
  • পাদ - ফলক ( Base plate ) ঃপুচ্ছের পশ্চাতে কাটা সমন্বিত অংশটিকে পাদ ফলক বা প্রান্ত ফলক বলে । এই অংশ থেকে 6 টি দীর্ঘ সরু পুচ্ছ - তন্তু নির্গত হয় ।

ভাইরাসের শ্রেণীবিভাগ ( Classification of virus ) ঃরােগ বিস্তার বা বংশবিস্তারের ভূমিকা অনুযায়ী ভাইরাস প্রধানত তিন রকমের হয় , যথা :

  • উদ্ভিদ - ভাইরাস ( Plant virus ) ঃযে সব ভাইরাস উদ্ভিদ - দেহে রােগ সৃষ্টি করে বা বংশবিস্তার করে , তাদের উদ্ভিদ ভাইরাস বলে । টোবাকো মােজেক ভাইরাস ( TMV ) , পি - মােজেক ভাইরাস ( PMV ) , বিন - মােজেক ভাইরাস ( BMV ) , টম্যাটো বুসী , আলুর এক্স - ভাইরাস ইত্যাদি এই রকমের ভাইরাস ।
    এই ভাইরসিদের নিউক্লিক অ্যাসিডটি RNA ( রাইবাে নিউক্লিক অ্যাসিড ) ধরনের ।
  • প্রাণী - ভাইরাস ( Animal virus ) ঃযে সব ভাইরাস প্রাণিদেহে রােগ সৃষ্টি করে বা শবিস্তার করে , তাদের প্রাণী - ভাইরাস বলে । বসন্ত রােগের ভাইরাস ভ্যারিওলা ’ এবং ভ্যাকসিনিয়া ’ , পােলিও রােগের ‘ পােলিওমাইয়েলিটিস ’ প্রভৃতি এই ধরনের ভাইরাস । প্রাণী ভাইরাসের নিউক্লিক অ্যাসিড DNA ( ডি - অক্সিরাইবাে নিউক্লিক অ্যাসিড ) অথবা RNA প্রকৃতির হয় । বসন্ত রােগের ভাইরাস DNA যুক্ত এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা রােগের ভাইরাস RNA যুক্ত।
  • ব্যাটিরিয়া - ভাইরাস ( Bacteria virus ) ঃএই রকম ভাইরাস ব্যাকটিরিয়ার দেহে | বংশবিস্তার করে । এইরকম ভাইরাসের নিউক্লিক অ্যাসিডটি DNA প্রকৃতির । ফাজ ভাইরাস বা ব্যাকটিরিওজি এই ধরনের ভাইরাস ।

● নিউক্লিক অ্যাসিডের উপস্থিতি অনুযায়ী ভাইরাস দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত , যেমন ঃ ( i ) RNA " যুক্ত ভাইরাস এবং ( ii ) DNA যুক্ত ভাইরাস । ➤ HIV : HIV অর্থাৎ হিউমান ইমিউনাে ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস ( Human Immuno Deficiency Virus ) ASICT AIDS ( Acquired Immune Deficiency Syndrome ) cast সৃষ্টি করে । LHIV- এর প্রজননিক বস্তু_ RNA , কিন্তু পােষক কোষে এটি DNA- তে রূপান্তরিত হয় । এই রকম ভাইরাস বাহকের রক্ত ও বীর্যের মাধ্যমে বাহিত হয় ।

ভাইরাসের জনন বা প্রতিলিপি গঠন ঃপ্রধানত পাঁচটি পর্যায়ে ভাইরাসের জনন সম্পন্ন হয় যেমন :

  1. পােষক - কোষকে বিদ্ধ করা ,
  2. ভাইরাস , নিউক্লিক অ্যাসিডের প্রতিলিপি গঠনের জন্য প্রয়ােজনীয় উৎসেচকের সংশ্লেষ ,
  3. ভাইরাসের গঠন বা উপাদানমূলক অংশের সংশ্লেষ ,
  4. পরিণত ভাইরাস - কণা সৃষ্টি করতে উপাদানমূলক অংশের সমাবেশ বা একত্রীকরণ ,
  5. পোষক - কোষ থেকে পরিণত ভাইরাসের নির্গমন বা মুক্ত হওয়া ।

নীচে ফাজ ভাইরাসের বংশবিস্তারের কৌশল আলােচন করা হল ঃ

  1. ফাজ - ভাইরাস প্রথমে লেজের অগ্ৰপ্ৰান্ত দিয়ে ব্যাকটিরিয়ামের কোষের প্রাচীরে সংলগ্ন হয় ।
  2. এই সময় ভাইরাসটি লাইসোেজাইম উৎসেচক নিঃসরণ করে ব্যাটিরিয়ামের প্রাচীরে একটি ছােট গর্তের সৃষ্টি করে ।
  3. ব্যাক্তিটিয়ামের প্রাচীরে সৃষ্ট গর্তের মাধ্যমে ভাইরাসের DNA অংশটি ব্যাটিরিয়ামের মধ্যে প্রবেশ করে এবং ফাজ ফাইরাসের প্রােটিন আবরণটি ব্যাটিরিয়ামের দেহের বাইরে থেকে যায় ও পরে সেটা বিনষ্ট হয়ে যায় ।
  4. ব্যাকটিরিয়ামের দেহে অনুপ্রবিষ্ট DNA অংশটি থেকে অসংখ্য DNA অণুর সৃষ্টি হয় ।
  5. প্রতিটি অপত্য DNA অণুর চারপাশে পুনরায় প্রােটিন আবরণ সংশ্লেষিত হয়ে ক্যাপসিড গঠিত হয় । ফলে ব্যাটিরিয়ামের মধ্যে অসংখ্য অপত্য ভাইরাস কণা সৃষ্টি হয় । অপত্য ভাইরাস - কণাগুলি ব্যাকটিরিয়ামের প্রাচীর বিদীর্ণ করে নির্গত হয় এবং পুনরায় নতুন কোন ব্যাটিরিয়ামকে আক্রমণ করে । এইভাবে ফাজ ভাইরাস বংশবিস্তার করে ।

অপকারী ভাইরাস ( Harmful virus ) ঃভাইরাস মাত্রই উদ্ভিদদেহে বা প্রাণিদেহে রােগ সৃষ্টি করে । এখানে রােগ সৃষ্টিকারী কয়েক রকম ভাইরাসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় উল্লেখ করা হল :

ভাইরাসের নামরােগের নামআক্রান্ত স্থান
উদ্ভিদ ভাইরাস :
টোবাকো মােজেক ভাইরাস টোবাকো মােজেকতামাক গাছের পাতা
পি - মােজেক ভাইরাসপি - মােজেকমটর গাছের পাতা
বিন - মােজেক ভাইরাস বিন - মােজেকশিম গাছের পাতা
টম্যাটো বুসি ভাইরাসলিফ কার্ল টম্যাটো গাছের পাতা
প্রাণী ভাইরাস :
ভ্যারিওলাগুটি বসন্ত চর্ম
ভ্যাকসিনিয়াজলবসন্ত চর্ম
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রধানত শ্বাসনালী ,ফুসফুস এবং দেহের অন্যান্য অঙ্গ
পােলিওমায়েলিটিসপােলিওস্নায়ুতন্ত্র
মিসলস্ ভাইরাসহামচর্ম
এনকেফালাইটিস ভাইরাসএনকেফালাইটিস মস্তিষ্ক
মাম্পস ভাইরাসমাম্পসগলা
রেবিস ভাইরাস জলাতঙ্ক পাগলা কুকুর , বিড়াল , শিয়াল কর্তৃক দংশিত মানবদেহের যে কোন অঙ্গ
HIVAIDSসমগ্র দেহ

উপকারী ভাইরাস ( Beneficial virus ) ঃব্যাক্তিটিরিওফাজ বা ফাজ ভাইরাস ( T2 ) কলেরা , টাইফয়েড , আমাশয় , আন্ত্রিক জ্বর প্রভৃতি গ সৃষ্টিকারী ব্যাকটিরিয়ার দেহে পরজীবীরূপে বসবাস করে এবং ঐ ব্যাকটিরিয়াদের ধ্বংস রৈ ঐ সকল রােগ - আক্রমণের হাত থেকে পরােক্ষভাবে আমাদের রক্ষা করে । তাই টিরিওফাজকে উপাকরী ভাইরাস বলা হয় ।

ভাইরাস রােগের সংক্রমণ ( Transmission of virus ) ঃ

  • উদ্ভিদ - দেহে ভাইরাস সাধারণত কীট - পতঙ্গের মাধ্যমে , বীজের মাধ্যমে , অঙ্গজ জনন - পদ্ধতির মাধ্যমে এবং মাটির সাহায্যে সংক্রামিত হয় ।
  • প্রাণিদেহে ভাইরাস প্রধানত বায়ু ও পানীয়ের মাধ্যমে ছড়ায় । তাছাড়া রােগীর মল - মূত্র , হাঁচি - কাশি , পােশাক - পরিচ্ছদ এমনকি আক্রান্ত রােগীকে স্পর্শ করলেও ভাইরাস - রােগ সংক্রামিত হয় ।